বিশ্ব পরিবার দিবস আজ

আজ ১৫ মে, বিশ্ব পরিবার দিবস। পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ কেমন হওয়া উচিত, পারিবারিক বন্ধন ও পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা এবং বাস্তবিক অর্থে পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়।

সবাই কোনো না কোনো একটি পরিবারের অংশ। যেখানে একজন আরেকজনের সাথে ভালোবাসা আর আত্মার বন্ধনে বাধা। আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় যৌথ পরিবার প্রথা ভেঙে গেছে। এখন একক পরিবার হলেও, শিশুর বেড়ে উঠা, জীবন ও মূল্যবোধ তৈরি করে দেয় এই পরিবারই। তাই পরিবারের প্রতি গুরুত্ব ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর এ দিনটি উদ্‌যাপিত হয়।

আরও পড়ুন>> বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

১৯৮০ সালের দিকে জাতিসংঘ পরিবার সম্পর্কিত বিষয়সমূহের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে শুরু করে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালে সামাজিক উন্নয়ন কমিশনের ১৯৮৩/২৩ নম্বর রেজুলেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পরিবারের গুরুত্বের ওপর সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মহাসচিবের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ২৯ মে ১৯৮৫ তারিখের ১৯৮৫/২৯ নম্বর রেজুলেশন ‘উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় পরিবার’ নামে সাধারণ অধিবেশনের ৪৪ নম্বর সেশনে একটি সাময়িক আলোচনার প্রস্তাব আনা হয়। এতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি অনুরোধ করা হয় যেন বিষয়টি সরকার, আন্তঃসরকার, এনজিও এবং সর্বস্তরের জনগণের কাছে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।

জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ও অনুরোধের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৯ সালের ৯ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের ৪৪/৮২ নম্বর রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রতিবছর ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালিত হয়।

আরও পড়ুন>> এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ: তামিম  ইকবাল

এ বিশেষ দিনটি পালনের পেছনে যে কারণটি নিহিত রয়েছে তা হলো সমাজের উন্নয়নের জন্য প্রথমে দরকার একটি সুষ্ঠু পরিবার। ছোট-বড় সব সদস্যের নিরাপদ ও নিশ্চিত জায়গা হলো পরিবার। পরিবারের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো ও ঐতিহ্য যাতে অটুট থাকে, আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলো যাতে পরিবারগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য, পরিবারের কাজের সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।

একটি যৌথ পরিবারে আনন্দ-দুঃখ, মান-অভিমান যেমন থাকে, তেমনি থাকে নির্ভরতা। একজনের সাথে অন্যজনের শেয়ারিং-কেয়ারিং আর ভালোবাসার বন্ধন। পরিবার সমাজের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান যেখানে মানুষ আত্মিক আশ্রয় খুঁজে পায়।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us