কথায় আছে কিংবদন্তিরা কখনও মরেন না, কেবল চোখের আড়াল হন। ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে বেঁচে আছেন ফুটবল সম্রাট পেলেও! গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন ব্রাজিল কিংবদন্তি। প্রয়াণের পর তাকে ব্রাজিলের সান্তোসে অবস্থিত ইকিউমেনিকাল মেমোরিয়ালে সমাধিস্থ করা হয়।
প্রায় পাঁচ মাস পর এবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো ফুটবলের কালো মানিকের সমাধিস্থল। মঙ্গলবার (১৬ মে) পেলের সমাধিস্থল মেমোরিয়াল নেক্রোপাল একুমেনিকায় ভিড় জমান পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা।
সমাধিস্থলে ঢোকার পথে ভক্তদের জন্য ‘ও-রেই’ বা রাজা নামে পরিচিত পেলের দুটি স্বর্ণখচিত ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। পেলের দেহাবশেষ কৃত্রিম ঘাসে আচ্ছাদিত একটি ২০০ বর্গমিটারে (২ হাজার বর্গফুটের চেয়েও বেশি) দীর্ঘ কক্ষের মাঝখানে বড় ও স্বর্ণের তৈরি একটি কাঠামোর ভেতর রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> স্থগিত বিএড পরীক্ষা ১৩ জুন
পেলের দেহাবশেষ ধারণকারী সোনালী কাঠামোর ওপর একটি ক্রুশ রাখা হয়েছে। কাঠামোর ওপর কালো রঙে খোদাই করে তার গোল ও মুষ্টিবদ্ধ হাত উঠিয়ে উদযাপন করার দৃশ্যটিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো কক্ষে ফুটবল স্টেডিয়ামে তার ভক্তদের ছবি সম্বলিত ওয়ালপেপার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
অবকাশকেন্দ্রের মতো এই সমাধিস্থলে একটি গাড়ির যাদুঘরও আছে। পেলের ১ হাজারতম গোলটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৭৪ সালে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ বেনজ তাকে একটি এস-২৮০ গাড়ি উপহার দেয়, যা এই যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
পৃথিবীর একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) কীর্তি রয়েছে পেলের। দুই দশকের বেশি সময় ধরে সান্তোস, নিউইয়র্ক কসমস ও ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন। ২ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১ হাজার ২৮১টি গোল করে বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেন। অবশ্য গোল নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.