টলিউড নিয়ে আর ভাবেন না প্রসেনজিৎ

একটা সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নামেই প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি হয়ে যেত। তিনি বরাবরই নিজের সেই জায়গাটা ধরে রাখাতেই বিশ্বাসী ছিলেন। তাই একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন।

Islami Bank

তবে বাংলা ছবি নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে টলিউড নিয়ে সরব হয়ে বলেছিলেন, আমি ‘সাজান’ করিনি, আমি ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ করিনি, আমি কখনও বাংলা ছেড়ে বম্বেতে গিয়ে কাজ করব, সেটা ভাবিনি। এক পরিচালক আমার মাকে বলেছিলেন, ওকে হিন্দি দিন, হিন্দি ছবির হিরো হবে, বাংলায় যোগ্যতা নেই। কিন্তু আমি বাংলা ছবিকে আষ্টেপিষ্ঠে ধরেছিলাম। বাংলা ছবি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। দর্শক তো হাউজফুলের পর হাউজফুল দিচ্ছে। একটা বছর আমার ২২টা ছবি মুক্তি পেয়েছে।

আরও পড়ুন>> করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সপ্তাহে ৬ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, আমি না কোয়ালিটি, কোয়ান্টিটিতে বিশ্বাস করি না। দিনের শেষে তো ব্যবসা আসল। দিনের শেষ ওটাই তো ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রাখে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, তখন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করত এক একটি বাংলা ছবি। ছয় সপ্তাহ, ১০ সপ্তাহ করে চলত। একটা উদাহরণ দিতে চাই, দীপক দার (চিরঞ্জিত চক্রবর্তী), বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না। ব্যপক ব্যবসা করেছিল, পরে যাই সমালোচনা হোক না কেন। একটা ছবির ১২ লাখ টাকা বাজেট, আমি করেছি তো। এখন একটা ‘গুমনামী’ করতে পারছি। ‘কাকাবাবু’র বাজেট দেখুন।

one pherma

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একটা সময় এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভাবতেন। তবে এখন আর ভাবেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আর আগের মতো ভাবি না। ভাবতে হয় না। কারণ এখন আর ভাবতে হয় না। সকলেই এখন নিজেরটা ভীষণ ভাল বুঝতে পারে। তবে শুরু লড়াইটা ছিলই। অনেকে দেখবেন আমার নকল করেন, এভাবে কথা বলতেন, ওভাবে চলতেন। আমি কিন্তু সেগুলো ইচ্ছে করে করেছিলাম। একটা সময় বাবার ছায়া ছিল আমার মধ্যে, এমনটাই সকলে মনে করতেন। আমি সেই তকমাটা থেকে বেরিয়ে প্রসেনজিৎ হতে চেয়েছিলাম। তাই চাল-চলন বদলে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম।

এদিকে বলিউডে আজকাল নিয়মিত কাজ করছেন প্রসেনজিৎ। কয়েকদিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজে তার অনবদ্য অভিনয় নজর কেড়েছে সবার। আর আগামী ২ জুলাই ‘স্কুপ’ নামে আরও একটি ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজে প্রসেনজিৎকে একজন দক্ষ তদন্তকারী সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us