খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে পাঁচ মেয়রপ্রার্থী ভোট দিয়েছেন। সোমবার সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই ভিন্ন ভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে লেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেন তারা।
আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল রোডস্থ পাইওনিয়ার বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল) বেলা ১১টায় নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ১ম ফেজে অবস্থিত কলেজিয়েট স্কুলকেন্দ্রে ভোট দেন।
আরও পড়ুন>> দুই সিটির ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) সকাল ১০টায় বানিয়াখামার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করেন। জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাফ ফুল) বেলা ১১টায় মতিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (টেবিল ঘড়ি) দুপুর দেড়টায় আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন বলে জানান।
ভোট প্রদান শেষে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
অপরদিকে, এই সিটিতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ২৮৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কেন্দ্রে।
নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৪৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ আছেন। এছাড়া সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন ১০ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ১১ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি টিম, পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারে ৪৯টি টিম।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.