আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। ফল অন করানোর সুযোগ থাকলেও তা করেনি টাইগাররা। ব্যাট করতে নেমে আবারো দারুণ শুরু পেয়েছে স্বাগতিকরা।
মিরপুরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান করা বাংলাদেশের এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংগ্রহ এক উইকেটে ৭৪ রান। এর আগে ১৪৬ রানে অল আউট হয়েছে আফগানিস্তান। টাইগারদের লিড ৩১০ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন জয়। দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। তার আগে ১৩ বলে খেলেন ১৭ রানের ইনিংস। নিজাত মাসুদ চোট পেলে তার জায়গায় ওভার সম্পন্ন করতে এসে উইকেট পান আমির হামজা।
আরও পড়ুন>> এক দিনে রেকর্ড ২৮৫ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে, মৃত্যু ১
জয় ফিরলেও এর পরের অংশটা নিজেদের করে নিয়েছেন জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরই মধ্যে দুজনে গড়েছেন ৫৬ রানের জুটি। জাকির ৩১ ও শান্ত ২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। শুরুতেই জীবন পান জাদরান। তার ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন দাস। তবে তার হাতেই ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার।
শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন জাদরান। এরপর জোড়া আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। আরেক ওপেনার মালিককে ১৭ ও তিনে নামা রহমত শাহকে ৯ রানের বেশি করতে দেননি তিনি।
লাঞ্চ বিরতির পর চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন শরিফুল। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই।
আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে সংঘাত সৃষ্টি: ফখরুল
পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন জামাল ও জাজাই। কিন্তু অল্প সময়ের মাঝেই দুজন ফিরলে ফের বিপদে পড়ে আফগানরা। এর আগে যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৬ রান করেন দুই ব্যাটার।
আমির হামজা ৬ রানে ফিরলে ফলো অনের শঙ্কা আরো জোরালো হয়। শেষ দিকে করিম জানাত একাই লড়াই করেন। শেষ উইকেট হিসেবে ২৩ রানে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে এবাদত হোসেন একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া মেহেদী মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.