ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ বাড়ানো সম্পূর্ণ গণবিরোধী: বিএনপি

জাতীয় সংসদে ব্যাংকের পরিচালকদের মেয়াদ ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করে ব্যাংক কোম্পানি আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ গণবিরোধী এবং সুশাসনবিরোধী বলে দাবি করেছে বিএনপি।

গত ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই দাবি করেন সদস্যরা। বুধবার (৫ জুলাই) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালকদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করেন, বাড়তি সময়ের সুবিধার জন্য পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জনগণের আমানতের টাকা বিদেশে পাচারের ব্যবস্থা করছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। ব্যাংকিং খাতকে এ সরকার সচেতনভাবে ধ্বংস করছে। সভায় অবিলম্বে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে যে আইন করা হয়েছে তা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন>> মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে

এতে আরও বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে- দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নৈরাজ্য চালিয়ে ব্যাংকিং খাতকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপির জন্য কোনও রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের সব ধরনের সুবিধা দিয়ে চলেছে সরকার। পুনঃতফসিলকৃত ঋণ, অবলোপন করা ঋণ, অর্থ ঋণ আদালতে আটকে থাকা বিপুল পরিমাণ অঙ্কের ঋণ বিশেষ বিবেচনায় নবায়ন করাসহ আরও অনেক ঋণ যেগুলো খেলাপি যোগ্য, সেগুলো খেলাপি ঋণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না।

বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৩ সালের মার্চ মাসে সরকারি হিসাব মতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। কিন্তু উপরোক্ত ঋণগুলোকে তালিকাভুক্ত না করায় প্রকৃত খেলাপি ঋণ প্রায় চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের মতে এর প্রধান কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। সরকার ঘনিষ্ঠদের খেলাপি ঋণ বারবার পুনঃতফসিল ও অবলোপন করে তা গোপন করা হয়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us