ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, জনগণ প্রস্তুত। খুব শিগগিরই রাজপথে ফয়সালা হবে।
তিনি বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই সরকার এই মুহূর্তে পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিদায় করা হবে। এদেশে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার দেশ বাচাঁতে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই। মানুষের ভোটের অধিকার নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা নেই। দেশে এরকম পরিস্থিতি গত ৫০ বছরেও হয় নাই।
আরও পড়ুন>> ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা দেড়শ ছাড়ালো
সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ তরুণদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশ হায়েনার কবলে পড়েছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার নেই। প্রায় চার কোটি নতুন ভোটার হয়েছে। তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় না করা পর্যন্ত মাঠে থাকব।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে মূল মালিক জনগণ, সেই জনগণকে আমরা ভোটের অধিকার ফেরত দিতে চাই। তাই আসুন দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতার যেই আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আরেকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, আসুন আমরা ছোট-বড় সব শক্তি একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই সমাবেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চুড়ান্ত আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদ ইমরান আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.