চেহারা দেখে মজেছিলেন সকলে, ভয়াবহ অতীত জানা ছিল না, সামনে এল ‘রূপসী’ ছায়াপথের সত্য। প্রথম দেখাতেই চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল সকলের। ভবিষ্যতের জন্য অপার সম্ভাবনা অপেক্ষা করে রয়েছে বলে ধরে নিয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
গাত্রবর্ণ মরচে ধরা লোহার মতো। কমলার উপর রক্তিম মায়া জড়িয়ে। সর্পিল, গোটানো শরীর। তার ভেতর থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে আলো। যার চোখধাঁধানো উপস্থিতি দেখে উদ্দীপনায় ফুটছিলেন বিজ্ঞানীরা, তা আসলে একটি মৃত, ধ্বংসপ্রাপ্ত ছায়াপথ বলে জানা গেল।
এই সত্যতা উদঘাটনের নেপথ্যে রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
আরও পড়ুন>> ইতালিতে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬
পৃথিবী থেকে NGC 3256-এর দূরত্ব প্রায় ১২ কোটি আলোকবর্ষ। ধুলা, গ্যাস এবং নক্ষত্রের সংমিশ্রণে ওই ছায়াপথ গঠিত। কিন্তু তার অতীত অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক বলে জানা গেল।
spaceজেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই ছায়াপথের অতীত উদঘাটন করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাতে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কোটি বছর আগে দুই ছায়াপথের মধ্যে ধাক্কা লাগে। তাতে এখন যা পড়ে রয়েছে, তা আসলে ধ্বংসাবশেষ।
এই তথ্য আগামী দিনে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণার পথ আরও সহজতর করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আকাশগঙ্গার মতো ছায়াপথ অন্য ছায়াপথের সঙ্গে মিশে কোন উপায়ে এত বর্ধিত হয়েছে, তা জানার পথ প্রশস্ত হবে আরও।
দুই ছায়াপথের পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেলে দুই কৃষ্ণগহ্বরও পরস্পরের সঙ্গে মিশে যায়, এবং য সময় যায় আয়তন বর্ধিত হয় তার। তাতে একসময় ওই বর্ধিত কৃষ্ণগহ্বরের আয়তন কোটি কোটি সূর্যের সমান হয়ে দাঁড়ায়।
তবে NGC 3256 ছায়াপথ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলেও, সৌরজগতে নয়া নক্ষত্রেরও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, দুই ছায়াপথের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে গ্যাস, ধুলো এবং মেঘ জমে নক্ষত্র তৈরির নয়া উপাদান তৈরি হয়।
এক্ষেত্রে তা চোখেও পড়েছে। NGC 3256-র ভিতর থেকে ঠিকরে আসা আলো সেই নক্ষত্র থেকেই প্রতিফলিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যা ধরা পড়েঠে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.