বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যটকদের দুর্গম এলাকায় গমণের আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আজকের এ দুই উপজেলায় পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে একমাত্র রোয়াংছড়ি ব্যতীত বান্দরবান জেলার সকল উপজেলায় আগেরমত স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমণ করতে আর কোন বাঁধা রইলো না।শুক্রবার (১৪জুলাই) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আরও পড়ুন…ম্যাচ দেখবেন সৌম্যদের আজ
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্তে অত্রাফিসের ১৪ মার্চ ২০২৩ মূলে জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর, বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনানিবাসের১২ জুলাই ২০২৩ তারিখের ১৪০/৫৯/জিএস (ইন্ট:) পত্রের আলোকে রুমা ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এতদ্বারা প্রত্যাহার করা হলো।
তবে পর্যটকগণকে দুর্গম এলাকায় গমণের পূর্বে উপজেলা প্রশাসন হতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহপূর্বক যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রোয়াংছড়ি উপজেলা ব্যতীত বান্দরবান জেলার অন্যান্যসকল উপজেলায় পূর্বের ন্যায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকগণ অদ্য হতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজকের এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে রোয়াংছড়ি ছাড়া সকলউপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, গেল বছরের ১৭ অক্টোবর রাত থেকে পাহাড়ে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর আস্তানায় জঙ্গি বিরোধী যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.