নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিএনপির মেহনতি মানুষের পদযাত্রা অনুষ্ঠানের অতিথি ইঞ্জনিয়ার ইশরাক হোসেনকে স্বাগত জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মিরা। এ সময় দুই গ্রুফের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়।বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রেলগেইট বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা ইশরাকের মোটরসাইকেল বহরে হামলা চালিয়ে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন একদিন আগেই নোয়াখালীতে আসেন।
তার আসার খবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা জেলার সোনাইমুড়ীতে জড়ো হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।এতে বিএনপির আকরাম হোসেন (৩০),আমির হোসেন (৪৪) সহ ৫ নেতাকর্মি আহত হয়।
আরও পড়ুন…মওদুদের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী
আকরাম ও আমিরকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই সময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে । খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো.ইউসুফ জানান, ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোনাইমুড়ীউপলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রিয়াজ উদ্দিন জনান,আকরাম ও আমির নামে ২ জনকে হাসপাতলে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বিকেলের দিকে বাইপাস এলাকায় ছাত্রলীগ শান্তি সমাবেশ করছিল।
ওই সময় বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়ির বহর আসলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ চলে যায়। ওসি আরও জানায়, এখন পর্যন্ত আহত হওয়ার কোনো খবর পাইনি। তবে গাড়ি বহরে হামলার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.