পবিত্রতা অর্জন, মনের সতেজতার জন্য মানুষ গোসল করে। ধর্মীয় দৃষ্টিতে গোসল কখনও ফরজ আবার কখনও সুন্নত। গোসল করার সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে। এখানে তা তুলে ধরা হলো-
>> ফরজ গোসলের আগে ইস্তিঞ্জা অর্থাৎ পেশাব করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস, ১০২০)
>> শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ১২৬৯৪)
>> আলাদা আলাদা করে দুই হাতের কব্জি ধোয়া। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৪৮)
>> শরীর বা কাপড়ের কোনও জায়গায় নাপাকি লেগে থাকলে প্রথমে তা তিনবার ধুয়ে পবিত্র করে নেওয়া। (মুসলিম শরিফ, হাদিস, ৩২১)
>> নাপাকি লেগে থাক বা না থাক, গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে নেওয়া এবং এরপর উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৪৯)
>> সুন্নত পদ্ধতিতে পূর্ণ অজু করা। আর গোসলের স্থানে পানি জমে থাকলে গোসল শেষ করে পা ধুয়ে নিতে হবে। (বুখারি, হাদিস, ২৬০)
প্রথমে মাথায় পানি ঢালা। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৫৬)
>> এরপর ডান কাঁধে পানি ঢালা। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৫৪)
>> এরপর বাম কাঁধে পানি ঢালা। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৫৪)> তারপর শরীরের বাকি অংশগুলো ভিজিয়ে নেওয়া। (বুখারি শরিফ, হাদিস, ২৭৪)
>> পুরো শরীরে এমনভাবে তিনবার করে পানি পৌঁছানো যেন একটি পশমের গোড়াও শুকনো না থাকে। ( আবু দাউদ, হাদিস, ৪৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস, ৮১৩)
তবে নদী-পুকুর, পুল ইত্যাদিতে গোসল করলে কিছুক্ষণ ডুব দিয়ে থাকলেই তিন বার পানি ঢালার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। ( আবু দাউদ, হাদিস, ২৪৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস, ৮১৩)
> পুরো শরীর হাত দিয়ে ঘষে-মেজে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। (তিরমিজি, হাদিস, ১০৬)
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.