পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রধান লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেও এ দিনের ঘটনায় প্রথম শহীদ হন শেখ কামাল। বজলুল হুদা তার স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালকে হত্যা করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল টার্গেট। তবে তার বড় ছেলে শেখ কামাল ১৯৭৫ সালে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রথম শহীদ হন। বঙ্গবন্ধুর ছেলে হিসেবে শেখ কামালের পরিচয় পাওয়ার পর মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদা স্টেনগান দিয়ে ব্রাশফায়ারে তাকে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী মোহাম্মদ কুদ্দুস সিকদারের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বজলুল হুদা ও নূর চৌধুরীসহ কয়েকজন প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন…আজ জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী
সিকদার বলেন, বাসায় ঢুকে প্রথমেই তারা শেখ কামালকে দেখতে পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা তাকে স্টেনগান দিয়ে গুলি করে। শেখ কামাল বারান্দা থেকে অভ্যর্থনা কক্ষে পড়ে যান। সেখানে তাকে আবারও গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা।
বঙ্গবন্ধু ভবনের আবাসিক ব্যক্তিগত সহকারী ও হত্যা মামলার বাদী মহিতুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে এ কথা উল্লেখ করেন। মহিতুল ইসলাম ১৯৭২ সালের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে সহকারী হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৭৫ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য মহিতুল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবাসিক ব্যক্তিগত সহকারী কাম-অভ্যর্থনাকারী ছিলেন। ১৪ আগস্ট রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত তিনি ডিউটিতে ছিলেন।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মহিতুল বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৪টা বাজে। চারিদিক ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। চারপাশে বৈদ্যুতিক আলো ছিল। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গুলি শুরু হয়।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.