সোনালী ব্যাংকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত মিয়ানমার ২ হিসাব

ডেস্ক রিপোর্ড

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়িক হিসাবের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত চেয়েছে সোনালী ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বা আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ এ মতামত দেবে। এরপরই এই দুটি হিসাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সোনালী ব্যাংক।

এর আগে ৩ আগস্ট সোনালী ব্যাংকে থাকা মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের ব্যবসায়িক হিসাবের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে মিয়ানমারের ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

আরও পড়ুন…বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগানো সওয়াব ও ফজিলত

বুধবার (১৬ আগস্ট) এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম বলেন, মিয়ানমারের মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ও মিয়ানমার ফরেইন ট্রেড ব্যাংকে হিসাব রয়েছে সোনালী ব্যাংকের। এর মধ্যে একটি হিসাবে এক লাখ ও অন্যটিতে এক মিলিয়ন পাউন্ড আছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুটি হিসাবই ফ্রিজ (জব্দ) আছে।

অপরদিকে মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকের ১ লাখ ডলার এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।

আরও পড়ুন…বিএনপি সন্ত্রাসি-বোমা হামলাকারি দল

তিনি বলেন, আপাতত দুটি হিসাবে কোনো লেনদেন হবে না। আমাদের অর্থও ফ্রিজ থাকবে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানিয়েছি, এখন তারা বলবে কী করব। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, চিঠির বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের হিসাবের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংক ও কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি লেনদেন সমস্যা হয়।

আরও পড়ুন…জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত: প্রধানমন্ত্রী

কারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যাংকগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপনডেন্ট ব্যাংকিং ছিল এবং এগুলোতেই বেশি লেনদেন হতো, এখন তা করা যাচ্ছে না। রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন ব্যক্তির ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইবাংলা/ জেএন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us