বাজেভাবে মৌসুম শুরু হয়েছে আগের আসরের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার।প্রথম ম্যাচে হেতাফের বিপক্ষে জয় পাওয়া হয়নি, সঙ্গে লাল কার্ড দেখে ডাগআউট ছাড়তে হয়েছিল কোচ জাভি হার্নান্দেজকে।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার কার্ড নিয়ে যখন হতাশায় ভুগছিল বার্সা, তখনই কোচ জাভি হার্নান্দেজের কপালেও ‘রেড সিগনাল’ জুটে। সহকারী রেফারির সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ানোয় তাকে ম্যাচের পরবর্তী সময়ে বক্সে বসেই খেলা দেখতে হয়। সেই শাস্তির মাত্রা এবার আরও বেড়ে গেছে জাভির।
আগামী দুই ম্যাচেও এই স্প্যানিশ কোচকে ডাগআউটে পাবেন না শিষ্যরা। জাভি কেবল মাঠেই রেফারির প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন না, সেটি তিনি ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও টেনে নিয়ে যান। পরবর্তীতে শাস্তি বাড়িয়ে জাভিকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কাদিজ ও ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষের ম্যাচে রাফিনিয়াকেও পাবে না বার্সা।
আরও পড়ুন…স্মার্ট বাংলাদেশের নামে দেশটাকে জেলখানায় পরিণত করছে সরকার: জিএম কাদের
গত রোববার (১৩ আগস্ট) গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচের ৭০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন এই কাতালান কোচ। বার্সেলোনার মরোক্কান উইঙ্গার আবদে এজ্জালজুলি ফাউলের শিকার হওয়ার পর জাভি সহকারী রেফারির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে এক প্রতিবেদনে রেফারি সিজার সোতোর দাবি করেন, বেশ কয়েকবার জাভিকে সতর্ক করলেও তাতে কান দেননি তিনি।
১০ জনের বার্সেলোনার বিপক্ষে অবশ্য সুযোগ নিতে পারেনি গেতাফেও। ৫৭ মিনিটে তারাও পরিণত হয় ১০ জনের দলে। বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন হাইমে মাতা। ফলে দুদলের মোট তিনজন লাল কার্ড দেখেন ম্যাচটিতে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ড্র নিয়ে।
অন্যদিকে ম্যাচ শেষে জাভি জানান, ‘মানুষ যে ফুটবল দেখতে চায় না, সেটিই তো স্বাভাবিক।নিষিদ্ধ হওয়া বার্সা কোচ পুরো ম্যাচেই রেফারি সিজার সোতোর সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন। যার ধারণা পাওয়া গেছে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও।
আরও পড়ুন…স্পেন যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে মৃত্যু ৬০ জনের
রেফারিকে ধুয়ে দিয়ে জাভি বলেছিলেন, ‘মানুষ যে ফুটবল দেখতে চায় না, সেটিই তো স্বাভাবিকই। এটাই যদি হয় আমাদের লিগের পণ্য, যেটা আমরা বিক্রি করে থাকি, তবে সেটা লজ্জাজনক। পুরোপুরি লজ্জাজনক। সবাই দেখেছে কী ঘটেছে। বলতেই হচ্ছে, আমাদের চুপ থাকা উচিত নয়।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.