বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত গুলশানের ঠিকানায় তাকে না পেয়ে বাড়ির দরজায় হাইকোর্টের নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জানানো হয়, ওই ঠিকানায় তারেক রহমানকে পাওয়া যায়নি। তাই বাসার সামনে নোটিশ টানানো হয়েছে।
এদিকে গেলো শুক্রবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের নির্দেশে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার সংক্রান্ত রুলের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন>> ২১ আগস্ট সম্পূর্ণ আ. লীগের সাজানো নাটক: মির্জা ফখরুল
এর আগে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ আগস্ট তার সংশোধিত গুলশানের ঠিকানায় রুলের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত প্রয়োজনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিতে বলেন।
এর আগে ১০ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে তার ঠিকানা সংশোধন করে রিটকারীকে নতুন আবেদন করতে বলেন।
এ সময় তারেক রহমানের বিদেশে বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়েও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়।
আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দেন কোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.