জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪৯ বছর বয়সেই মারা যাওয়ার খবরটি গুজব।
বুধবার জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার হেনরি ওলেঙ্গা সামাজিক মাধ্যমে জানান, মৃত্যুর খবরটি গুজব। স্ট্রিকের সাবেক এই সতীর্থ নিজেও আগে মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোক জানিয়েছিলেন। পরে মুছে দেন সেসব লেখা। ইংল্যান্ডের দা গার্ডিয়ানসহ অনেক সংবাদমাধ্যমই সরিয়ে নেয় খবর।
হিথ স্ট্রিকের সাবেক সতীর্থ ও সাবেক জিম্বাবুইয়ান পেসার হেনরি ওলাঙ্গা। টুইটার নামে পরিচিত সামাজিকমাধ্যম এক্সে স্ট্রিকের সঙ্গে আলাপের স্ক্রিনশট আপলোড করে এই সাবেক ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন>> শুরুতেই স্থগিত পূজার ছবির শুটিং
তিনি লিখেছেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আমি শুধু তার কাছ থেকে শুনেছি। থার্ড আম্পায়ার তাকে ফেরত ডেকেছেন। তিনি জীবন্ত একজন মানুষ।
এর আগে সকালে ক্রিকেট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর। এতে জিম্বাবুয়ের বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটাররা শোক প্রকাশ করেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। রয়টার্স ও বিভিন্ন এজেন্সিসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল খবর।
ওলোঙ্গা পরে গণমাধ্যমকে জানান, স্ট্রিকির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আজকে সকালেই তার সঙ্গে দেখা করেছে রেমন্ড প্রাইস (জিম্বাবুয়ের সাবেক স্পিনার)। যদিও বেঁচে থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা খুব ভালো নয়। এখন তাকে অনেকটা চেনাই কঠিন।
এর আগে গত মে মাসে জানা গিয়েছিল কোলন ও লিভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক এই অলরাউন্ডার স্ট্রিক। তার চিকিৎসা চলছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া মন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, ‘জীবনের শেষ পর্যায়ে’ আছেন এই ক্রিকেটার।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের মে থেকে দুই বছর বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর যাদের হাত ধরে জিম্বাবুয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে মাথা তুলে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট, তাদেরই একজন স্ট্রিক।
টেস্টে ১০০ উইকেট ও ১ হাজার রান এবং ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট ও ২ হাজার রানের ‘ডাবল’ অর্জন করা জিম্বাবুয়ের একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। এছাড়াও জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি ৬৮ ওয়ানডে ও রেকর্ড ২১ টেস্টে। পরে ২০০৫ সালে মাত্র ৩১ বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন।
প্রায় ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৬৫ টেস্টে তার উইকেট ২১৬টি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮০টির বেশি উইকেট নেই আর কারও। ব্যাট হাতে ১ সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটিতে রান করেন ১ হাজার ৯৯০। এছাড়া ১৮৯ ওয়ানডে খেলে তার উইকেট ২৩৯টি। জিস্বাবুয়ের হয়ে দেড়শ উইকেটও নেই অন্য কোনো বোলারের। এই সংস্করণে ১৩ ফিফটিতে রান করেছেন ২ হাজার ৯৪৩।
তবে ২০২১ সালে আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন স্ট্রিক। যদিও সেই অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছেন তিনি।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.