বেকাররা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করলে সরকার এত দিন মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) নিত না। কিন্তু এই প্রথম চাকরির আবেদন মাশুলের (ফি) সঙ্গে ভ্যাটও নেওয়া শুরু করল সরকার। চাকরির আবেদন মাশুলের সঙ্গে ভ্যাটের হার বসিয়ে সম্প্রতি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
ফলে একই বিষয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনটি বাতিল হয়ে গেছে। ভ্যাট আরোপিত হওয়ায় এখন সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির আবেদনকারীদের ব্যয় কিছুটা বাড়বে।
আরও পড়ুন…আজ ঢাকার উদ্দেশ্যে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে সরকারি চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদন ও পরীক্ষার ফি নেয়া হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ নেয়া অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটককে দিতে হবে, আর ভ্যাট হিসেবে আদায় করা হবে কমিশনের ১৫ শতাংশ। ফলে সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের খরচ কিছুটা বাড়বে।
এতে বলা হয়েছে, নবম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব (নন-ক্যাডার) পদের জন্য আবেদন ফি হবে ৬০০ টাকা, দশম গ্রেডের জন্য ৫০০, ১১-১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০, ১৩-১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ এবং ১৭-২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, টেলিটকের মাধ্যমে ফি ৬০০ টাকা দিতে হলে চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে অতিরিক্ত ৬০ টাকা এবং কমিশনের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আরও ৬ টাকা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন…রাজনীতির বাহিরে সব মহানগরে বিএনপির ‘কালো পতাকা মিছিল’
অর্থাৎ আবেদনকারীকে ৬০০ টাকা ফির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৬৬ টাকা দিতে হবে। আগে আবেদন ফির ওপর ১০ শতাংশ কমিশন নেয়ার বিধান থাকলেও কোনো ভ্যাট আদায় করা হতো না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.