সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নে কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নে কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পে ২০২২-২৩ইং অর্থ বছরের ১ম পর্য্যায় কাজের অর্থ নয় ছয় করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

সরকার উপজেলার রাস্তাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) ডোয়াইল ইউনিয়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ম পর্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে। স্থানীয় প্রশাসনের এক শ্রেণী সুবিধাভোগী কর্মকর্তার যোগসাজসে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টরা তা বাস্তাবায়ন না করে প্রকল্পের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন…পাহাড়ে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে তালিকাভূক্ত প্রকল্প ঘুরে সরজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাটবাড়ি আমজাদ মাষ্টারের বাড়ি হতে জুয়েলের দোকান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ১০লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।

৪০ দিন কর্মসূচীর কাজে ২০/২২ জন শ্রমিক ৫/৬ দিন কাজ করেছে বলে হাটবাড়ির আমজাদ আলী মাষ্টার, ব্যবসায়ী লালন মিয়া, ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, ওমর আলী সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এ ছাড়াও হাটবাড়ির মোহাম্মদ আমজাদ আলী, জিয়াউর রহমান, আমজাদ মাষ্টারের নাতি স্কুল ছাত্র রহিম, বাদল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, দু’চার জন লোক দিয়ে দু’তিন দিনে কিছু মাটি কেটে গর্ত পুরন করতে দেখেছি। তারা এক পাইছা দুই পাইছা করে মাটি রাস্তায় ছড়িয়ে সমান করেছে বলে তারা জানান।

অপরদিকে, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের প্রসাদপুর বাহার উদ্দিনের বাড়ি হতে আলম প্রফেসারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে একই পরিমান অর্থ বরাদ্ধ থাকলেও তা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। আলম প্রফেসরের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির সামনের রাস্তার মাটি আমাদের প্রয়োজনে আমাদের টাকায় কাটা হয়েছে।

ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ডিগ্রীবন্ধ বাদশা মিয়ার বাড়ী হতে মন্ডের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, ৪নং ওয়ার্ডে চাপারকোনা সুজনের দোকান হতে দুলাল মিলিটারী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, ৮নং ওয়ার্ডে কৃষ্টপুর স্কুল মাঠ হতে ঘোড়া ছাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজে অর্থের যথাযথ ব্যবহার না করে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে সিংহ ভাগ অর্থ নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রকল্পে সামান্য কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে দুই-চার দিন রাস্তার মাটি ড্রেজিং কিংবা স্বল্প মাটি দিয়ে খানা খন্দক ভরাট করে, ঘাস সাফ করে দায় সারা ভাবে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন…ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করল সরকার

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক স্বপনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ের অজুহাতে কোন কথা বলতে রাজি হননি।এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার আঃ হালিমএর সাথে কথা বললে তিনি পরীক্ষা হলের দায়িত্ব পালনের কথা বলে এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরের সাথে মোবাইলে একাধিকবার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা বলেই কেটে দেন।

ইবাংলা/ জেএন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us