বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফের আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ আবেদন করেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদনের ওপর মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন দাবি করেন, নানা জটিল রোগে আক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গত দুইমাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিন্তু চিকিৎসায় কোনো উন্নতি নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক জটিলতা বাড়ছে খালেদা জিয়ার। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগে নিমজ্জিত হতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জটিলতা বা সমস্যাগুলো এমন পর্যায়ে গেছে যে এখন দেশে চিকিৎসা দিয়ে সেসব সমস্যার উন্নতি আশা করা যায় না। তার লিভার, কিডনিসহ শরীরের প্রত্যঙ্গগুলোর জটিলতা বেড়েই চলেছে।
গত মাসের ৯ তারিখ থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদার। কখনো কেবিনে, কখনো সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে তার। বর্তমানে তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। সেই আল্টিমেটামের সময়ও শেষ হয়ে গেছে।
দলীয় প্রধানকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সামনে নতুন করে এই দাবিতে কর্মসূচি দেওয়ার কথাও ভাবছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়। পরিবর্তন করতে হলে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থান আনতে হবে। এরপর অন্য বিবেচনা করা যাবে তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন রয়েছে। আদালত খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছেন। এখন আইনের পরিবর্তন না করে তাকে মুক্তি দেওয়া যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে হলে, তার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে।
গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। পরে আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি কাগজপত্রের আলোকে ভেবে দেখবে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.