নির্বিষ বোলিংয়ের পর বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী। ফলাফল- ইংলিশ পরীক্ষায় ফেল সাকিব আল হাসানদের।
ইংল্যান্ড যখন ৩৬৪ রানের বড় সংগ্রহ পায়, মূলত তখনই ম্যাচে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। তবু অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ১৮ কোটি বাঙালি। কারণ ভারত যাত্রার আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘৩০০-৩৫০ রান তাড়া করার সামর্থ্য আছে সাকিবদের।‘
বোর্ড কর্তার সেই কথা প্রমাণের বড় সুযোগ পেয়েছিল লাল-সবুজ দল। কিন্তু মঙ্গলবার বড় লক্ষ্য তাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে টিম টাইগার্স। টপ অর্ডার ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পনে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে। তাদের ১৩৭ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে জয়ের খাতা খুলেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন>> জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার রানের পাহাড়
যে লিটন দাসের অফফর্ম ভাবাচ্ছিল দলকে, সেই লিটনের ব্যাটেই হারের ব্যবধান কমেছে বাংলাদেশের। ওপেনে নেমে একে একে চার সতীর্থের আউট দেখেছেন তিনি। রিস টপলির বিধ্বংসী স্পেলে সর্বনাশ হয় বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পর পর দুই বলে বাঁহাতি ইংলিশ পেসার শিকার বানান তানজিদ হাসান (১) এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে (০)।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাকিবকে (১) মাঠছাড়া করেন টপলি। স্বপ্ন দেখানো মেহেদি হাসান মিরাজ এ যাত্রায় ব্যর্থ দলের হাল ধরতে। মাত্র ৮ রান করে ক্রিস ওকসের শিকার বনেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন লিটন। বড় লক্ষ্যে চোখ রেখে দ্রুত গতিতেই রান তুললে থাকেন তারা।
কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়া লিটন থমকে যান ২১তম ওভারের শেষ বলে। ওকসের বলে ক্যাচ তুলে দলীয় ১২১ এবং ব্যক্তিগত ৭৬ রানে থামেন টাইগার ওপেনার। তার ৬৬ বলের ইনিংসের ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কার মার। মুশফিকও থামেন হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। টপলির চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
মুশফিক যখন আউট হন তখন ৩১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৬৪ রান। এরপর তাওহিদ হৃদয় (৩৯), শেখ মেহেদী (১৪), তাসকিন আহমেদ (১৫) এবং শরিফুল ইসলামের (১২) ব্যাটে কমে কেবল দলের হারের ব্যবধান। সব মিলিয়ে ৪৮.২ ওভার খেলতে পারে বাংলাদেশ।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.