শনিবার (৫ অক্টোবর) হামাসের রকেট হামলার পরের দিন রোববার ইসরায়েলের পাল্টা বিমান হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা অংশে বৃষ্টির মতো ফসফরাস বোমা ফেলছে ইসরাইল তবুও হামলা প্রতিহত করতে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। আর হামাস যেন ইরান কিংবা অন্য কোন দেশের থেকে সহয়তা না পায় তা নিশ্চিত করতে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে বৃটেন। খবর বিবিসি’র।
এতে জানানো হয়, অন্তত দুটি যুদ্ধজাহাজ, একশ নাবিক এবং নজরদারি বিমান পাঠানো হবে ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য। যুদ্ধের ৬ষ্ঠ দিনে এ ঘোষণা এলো বৃটেনের তরফ থেকে। শুক্রবার থেকেই গাজার আশেপাশে নজরদারি শুরু করবে বৃটিশ বিমান। কেউ যাতে ফিলিস্তিনিদের কাছে অস্ত্র পৌঁছাতে না পারে তা নিশ্চিত করবে দেশটি।
আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৭৩
যুদ্ধে ইসরাইলকে একতরফা সুবিধা দিতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়া ও মুসলিম দেশগুলো যখন গাজার ওপর ইসরাইলি হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চলেছে, তখন ইসরাইলকে আরও সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। তিনটি মার্লিন হেলিকপ্টারও মোতায়েন করতে চলেছে ঋষি সুনাকের দেশ। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট ঘোষণা করেছে, ইরান বা রাশিয়ার মতো দেশগুলো যাতে লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সহায়তা দিতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে।
সাইপ্রাসের আকটরিরির আরএএফ ঘাঁটিতে যোদ্ধা ও বিমানবাহিনী সতর্ক অবস্থা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় শত শত বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় গাজায় ফিলিস্তিনির মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ জন্য ফিলিস্তিনিদের দুষছেন। তিনি বলেন, হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার নিরীহ নিহত মানুষের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া তার লক্ষ্য। শুধু বৃটেনই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সরকারপ্রধান এই ঘটনায় ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।
এর আগে হামলার পরদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে বৃট্রিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্রিটেন দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্ব যেন এক সুরে কথা বলে সেজন্য কাজ করছে লন্ডন।
এদিকে নটিংহ্যামশায়ারে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মি. সুনাক ইসরায়েলকে শক্তিশালী মিত্র হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি ইসরায়েলকে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাবেন।
লন্ডনে ইহুদিদের প্রার্থনালয় সিনাগগে ঋষি সুনাক বলেন, যারা হামাসকে সমর্থন করে তারা এই ভয়াবহ হামলার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তারা যোদ্ধা নয়, তারা সন্ত্রাসী।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.