লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ৪ প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওতা হয়েছে। এ নির্বাচনে নৌকা, লাঙল, গোলাপ ফুল ও আম মার্কা প্রতীকে লড়বেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদেরকে প্রতীকগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন>> ওয়ার্নার-মার্শের তাণ্ডবে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩৬৭ রান
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থীদেরকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে তারা ভোটের জন্য প্রচারণা চালাবেন। ৫ নভেম্বর এ আসনের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্য ২ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।
নির্বাচন কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম ফারুক পিংকুকে নৌকা, জাতীয় পার্টি মনোনীত রাকিব হোসেনকে লাঙল, জাকের পার্টি মনোনীত শামছুল করিম খোকনকে গোলাপ ফুল ও এনপিপির সেলিম মাহমুদকে আম প্রতীক দেওয়া হয়েছে। নৌকার প্রার্থী পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, লাঙলের প্রার্থী রাকিব জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, গোলাপ ফুলের প্রার্থী খোকন জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আমের প্রার্থী সেলিম এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উন্নয়নের মার্কা নৌকা নিয়ে ভোট করার সুযোগ দিয়েছেন। এ আসনের জনগণ আর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে ভালোবাসেন। আমিও সবসময় তাদের জন্য কাজ করেছি। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিপুল ভোটে আমি জয়ী হব।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাকিব হোসেন বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টির জনগণের আস্থার রাজনৈতিক দল। এ দল আমার প্রয়াত বাবা সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ উল্যার আদর্শ। বাবা এ আসন থেকে পুনরায় নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এর আগেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লাঙলের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ আমি বিজয়ী হব।
উল্লেখ্য: ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.