মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে মাছ-মাংশে হাত দিতে পারেন না অনেক সাধারণ ক্রেতা। সবজির বাজারও চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। নোয়াখালীর বাজার গুলোতে ৯০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। ব্যতিক্রম পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া।
বরবটি, টমেটোর দাম এখন ১০০ টাকা। এছাড়া সেঞ্চুরি করে প্রতি কেজি গাজর এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
আরও পড়ুন…রাঙামাটিতে মৃত ট্রাক চালকদের পরিবারকে মৃত্যুফান্ডের অর্থ প্রদান
মঙ্গলবারের বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যার মধ্যে লম্বাকৃতির বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকায় এবং ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বলতে পেঁপে তবুও কয়েক দিনের ব্যবধানে তার দাও চেপে বসেছে ক্রেতাদের ওপর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাঁচা কলা ও ফনা তুলে বিষদাঁত নিয়ে প্রতি হালি ৪০/৪৫ থেকে বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মূলাও ফুলে উঠেছে কয়েকগুন প্রতি কেজি মুলা ৭০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি চোখ রাঙ্গিয়ে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া ধাক্কাধাক্কি করছে দামের সাথে প্রতি কেজি ৫৫/ ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৭০ টাকা আর কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন…সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
বাজারে আগের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধগতিতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্তরা, নিন্মবিত্তরা করছেন আপসোষ।দিনমজুর রিক্সাচালক জহির বলেন, প্রতিদিন ৪০০ টাকা ৫০০ টাকা ইনকাম হয় যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে ৫ জনের সংসার চালানো সম্বব নয়, ৫০০ টাকার বাজার করলে ও সংসার চলেনা, ২/৩ পদের সবজি আইটেম নিলে বাকি আর কিছু থাকেনা, মাছ কেনা ও এখন স্বপ্নের মত হয়ে গেছে, গুরু মাংস কেনা হয়নি ৪ মাসেও, মুরগি খাওয়াও সাধ্যের বাহিরে চলে গেছে। দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
দিনমজুর আব্দুর রহমান বলেন, অন্যের খেতে কামলা খেটে দৈনিক ৫০০ টাকা পাই কিন্তু ৬ জনের সংসারে ডাল ভাতও জুটেনা, অন্যদিকে ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ সব মিলে প্রতিমাসে অন্যের কাছে ধারদেনা করতে হয়। প্রতিদিন কাজ না থাকায় দূচিন্তায় কাটাতে হয়।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়
দোকানিরা বলেন, মালের একেকদিন একেক দাম, আমরা যা দিয়ে আনি তাও লাভ করতে কস্ট হয়। এদিকে অস্থির বাজারে প্রশাসনের কোন তদারকি না থাকায় এক শ্রেণীর সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রনে করছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।দ্রব্যমূল্যের এমন অস্থিরতা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ক্রেতারা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.