পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসিপির এই ঘোষণায় নির্বাচন ঘিরে পাকিস্তানে কয়েক মাস ধরে চলা অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল ইসিপি।
আরও পড়ুন>> সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনার সহায়তা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী
ডনের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসিপি দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী কমিশনের আইনজীবী সজিল স্বাতী বলেন, নির্বাচনের পথ সুগম করে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী এলাকা প্রণয়নের প্রক্রিয়া শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় ইসিপির আইনজীবী আদালতকে বলেন, ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী এলাকা প্রণয়নের পর্যায় শেষ হবে এবং তারপরে ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধান বিচারপতি ইসা নির্বাচনী সংস্থাকে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে আজ এই বিষয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন।
গত ৯ আগস্ট পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এরপর ক্ষমতায় আসে তত্বাবধায়ক সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আনোয়ারুল হক কাকার।
মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনদিন আগে পাকিস্তানের সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করায় আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.