হারের বৃত্ত ভাঙতে পারল না ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের টানা পঞ্চম হারের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সদের ৩৩ রানের জয়ে বিদায়ঘন্টা বাজল ইংলিশদের। টুর্নামেন্টে এখনো একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও সেমিফাইনালে খেলার আর কোনো সম্ভাবনা নেই জস বাটলারদের। তাদের বিদায় করে সেরা চার নিশ্চিতের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে অজিরা।
শনিবার আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪৮.১ ওভারে। সর্বসাকুল্যে ২৫৩ রান করতে পারে তারা। টানা পঞ্চম এবং মোট ষষ্ঠ হারে টেবিলের তলানীতেই থেকে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অস্ট্রেলিয়াও রয়ে গেছে তৃতীয় স্থানে। তবে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে সেমির খুব কাছে অজিরা।
আরও পড়ুন>> অভিবাসীদের মধ্যে কানাডা ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে: জরিপ
আজ রান তাড়ায় প্রথম বলেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টোকে আউট করেন স্টার্ক। জো রুটকেও উইকেট থিতু হতে দেননি অজি পেসার। বেয়ারস্টোর মতো রুটও ক্যাচ দেন জশ ইংলিশকে। মাত্র ১৯ রানে দুই উইকেট খোয়ানো দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান এবং বেন স্টোকস। তাদের প্রতিরোধে জয়ের আশা জেগেছিল ইংলিশ শিবিরে। কিন্তু দুজনেই হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আউট হলে ফিকে হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন।
মালান-স্টোকসের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। এই পেসার শিকার বানান ৫০ রান করা মালানকে। এরপর অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ডের জয়ের শেষ সম্ভাবনাটুকুও অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (১) মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াতে দেননি অজি স্পিনার। লম্বা বিরতি দিয়ে নিজের তিন ওভারের মধ্যে ওভারে স্টোকস (৬৪) ও মঈন আলিকে (৪২) মাঠ ছাড়া করেন জাম্পা।
জাম্পার শেষ দুই স্ট্রাইকের মাঝে লিয়াম লিভিংস্টোনকে (২) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কামিন্স। সব মিলিয়ে ৩৯.১ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৮৭ রান। এরপর লেজের জোড়ে বেশ ভালো এগোয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ক্রিস ওকসের ৩২ এবং আদিল রশিদের ২০ রানের ইনিংসে কমেছে কেবল তাদের হারের ব্যবধান।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.