আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৩৮ দিনের জন্য ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ভোটের প্রচারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মানতে হবে ১০ নির্দেশনা
ওই চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ জন্য ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উল্লেখিত সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন ১-২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্টাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। ওই সময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কম করার প্রয়োজন হবে। মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্টেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে ওপরের বর্ণনা মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.