ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেল ধসে ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছেছেন উদ্ধারকারীরা। টানা ১৭ দিন ধ্বংসস্তূপের ৫৭ মিটার খুঁড়ে পাইপ স্থাপনের পর উন্মুক্ত হয়েছে টানেলের মুখ। এর মাধ্যমে একে একে বের করা হবে শ্রমিকদের। তবে এখন পর্যন্ত আশা করা হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিকের সবাই সুস্থ আছেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আরও পড়ুন>> সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৩ দাবি ইসলামী আন্দোলনের
এনডিটিভির লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রমিকদের বের করে আনার কাজ শুরু হয়েছে। আর বাইরে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। টানেল থেকে উদ্ধার করে শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে উত্তরকাশীর জেলা হাসপাতালে নেয়া হবে। এরই মধ্যে টানেলের মুখে অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করা হযেছে। সেখান থেকে জেলা হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার।
জেলা হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। কোনও শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত আকাশপথে নেয়া হবে হাসপাতালে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শরীরের পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাও চলবে শ্রমিকদের।
টানেলে মোটা পাইপ স্থাপনে ব্যবহার করা হয়েছে নিষিদ্ধ ‘র্যাট হোল’ মাইনিং। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আমেরিকান অগারস ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ড্রিল করে সেখানে ৬০ মিটার লম্বা পাইপ স্থাপনের কাজ চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই ড্রিলিং মেশিনটি ভেঙে যায়। এরপর হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দেশটির সেনা সদস্যরা।
শ্রমিকদের বের করে আনা মাত্র প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৩০ কিলোমিটার দূর ৪১ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে যেন অ্যাম্বুলেন্সগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারে সেজন্য সেখানে একটি গ্রিন করিডোর তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সুবিধাও রাখা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে ১২ নভেম্বর ভোরে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে ভেতরে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। ১৭ দিন ধরে সেখানে আটকে পড়ে ছিলেন তারা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.