বাংলাদেশে ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ৭ শতাংশ করে বাড়ছে। চলতি বছর বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ২০২৪ সালেও এই আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আমদানি বিল পরিশোধে ডলার সংকটের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডলার সংকটের কারণে টাকার বিনিময় হার বেড়ে যাচ্ছে। আগামী বছরও বাংলাদেশ একই পরিমাণ রেমিট্যান্স পাবে।
আরও পড়ুন>> শাহরুখ খানের স্ত্রীকে আইনি নোটিশ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা কালোবাজারের সুবিধা নিতে এবং অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করতে উৎসাহিত করেছে।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী বছর উপসাগরীয় দেশগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। এই দেশগুলো আবার বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকতে পারে।
পাশাপাশি তেলের দাম কম হওয়ায় ২০২৪ সালে ওই দেশগুলোতে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ১২.৪৬ লাখ কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছরে এ সংখ্যা ছিল ১১.৩৫ লাখ। কর্মী রপ্তানি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হলেও বিগত দুই পঞ্জিকাবর্ষে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের আশপাশেই আটকে ছিল।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.