বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেই, কিন্তু শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাজারে কম বলছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বিস্মিত, এই সময়ে এত দাম!
শীত পড়ার আগে দর হারাতে থাকা সবজিগুলো ভরা মৌসুমে এসে আবার চড়ছে দেখে আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে আসা ক্রেতা নিগার সুলতানা বিরক্ত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই সময়ে শিমের দাম চায় ৮০ টাকা। ভাবা যায়! কদিন আগেও তো ৪০ টাকা ছিল। আবার বিচিওয়ালা শিম হলে একশ টাকার বেশি চায়।”
একই বাজারে আসা আবুল হাসনাত বলেন, “এখন তো সবজির দাম কমার কথা। কিন্তু বাড়ছে। এগুলো তো আর বললে কিছু হয় না। দাম যতই থাকুক কিনতে হয়, কী আর করা!”
বিক্রেতাদের দাবি, মাসের শুরুতে বৃষ্টির কারণে ফলনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে এখন মফস্বল থেকে সবজির চালান কম। তাই দাম বেশি।
উত্তরবঙ্গে বগুড়ার মহাস্থানের হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে দাম কমার বদলে বেড়ে গেছে। তবে উৎপাদন কম, এমন কথা বলছেন না কৃষক। দাম বেশি পাওয়ায় তারা কিন্তু বেশ খুশি।
সবজির কী দর
রাজধানীর মহল্লার বাজারগুলোতে এখনও ফুল কপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা বা আশেপাশের দরে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দিন দাম চড়ে তার চেয়ে বেশি।
অথচ দুই সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় একেকটি ফুল কপি পাওয়া গেছে।
শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত। কিছুদিন আগে তা নেমে এসেছিল ৪০ টাকার আশেপাশি।
বেগুনের দামও ৪০ থেকে ৫০ টাকা থেকে লাফ দিয়ে উঠেছে এখন ৭০ থেকে ৮০ বা তার চেয়ে বেশিতে।
অবাক করা ঘটনা হচ্ছে এই সময়ে নতুন আলুর দাম থাকে ২০ টাকার নিচে, এবার তা এখনও ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যদিও দুই সপ্তাহ আগে তা ছিল ৫০ টাকা।
মুলার কেজি এখন মোটামুটি ৪০, শালগম ৫০ থেকে ৫৫, শীত আসার আগে সবজির উচ্চমূল্যের মধ্যেও যে পেঁপে ২০ টাকায় পাওয়া গেছে, তার দাম এখন ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়।
সরকারি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাজারে ফুল কপি ও বাঁধা কপি ৩৩ থেকে ৮০ শতাংশ, লাউ ৫০ শতাংশ, বেগুন প্রায় দ্বিগুণ, কাঁচা পেঁপে ৪০ শতাংশ, মুলা ৩৩ শতাংশ এবং কাঁচা মরিচ ৮০ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.