তুলনামূলক কম ভোটারের উপস্থিতি, কয়েকটি আসনে গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটাদাগে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বিএনপির বর্জন আর হরতালের মধ্যে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ চলে।
এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রের ভেতরে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন, তাদের ভোট নিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার।
ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয়ে যায় ভোট গণনা। এরপর একীভূত ফলাফল ঘোষণা করবেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো চূড়ান্ত ফলাফল নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষণা করা হবে।
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।”
ভোট শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, বিভিন্ন আসন থেকে যে তথ্য তারা পেয়েছেন, তাতে ভোটের হার ৪০ শতাংশের মত হতে পারে। পরিপূর্ণ তথ্য আসার পর এটা বাড়তেও পারে, নাও পারে।
এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৮.৫% এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৭.১৫% ভোট পড়ার হিসাব নির্বাচন কমিশন দিয়েছিল।
ভোটের সকালে মুন্সীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.