ঘন কুয়াশায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। পরে রাত ১টার দিকে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছিল শতাধিক যানবাহন। প্রচণ্ড শীতে দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে চারপাশ ঢেকে রয়েছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের দুই কিলোমিটার এলাকায় বাস ও ট্রাকের লম্বা লাইন রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
জামান পরিবহনের যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, “জরুরি কাজে ঢাকাতে যাচ্ছি। ভোরে ঘাটে এসে দেখি ফেরি বন্ধ। প্রচণ্ড শীতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।”
আরেক যাত্রী শেখ রাজিব বলেন, এ কষ্টের শেষ নেই। যারা ফেরি ঘাটে শীতের মধ্যে আটকে থাকে তারাই বোঝে কষ্ট কাকে বলে। শীতে মাঝে মধ্যে শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছে। তখন হাঁটাহাঁটি করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ কমাতে হলে সেতুর বিকল্প কিছুই নাই।
ট্রাক চালক সামছুল বলেন, বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে রাত দেড়টায় ফেরি ঘাটে এসেছি। এখানে এসে জানতে পারি ফেরি বন্ধ। তখন থেকেই গাড়িতে বসে আছি। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, শীতে তো কষ্ট হয়ই।
আরেক ট্রাক চালক আব্দুল মতিন বলেন, কুয়াশায় মাঝে মধ্যেই ফেরি বন্ধ থাকে। তখন আমাদের এভাবেই বসে থাকতে হয়। আমাদের দাবি দৌলতদিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর জন্য।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.