বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা শত শত বছর ধরে সুনামের সাথে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে। আমি চাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সে ঐতিহ্য ধরে রাখুক। একটা খাতুনগঞ্জ গড়ে উঠতে শত শত বছর লেগেছে। কিন্তু ধ্বংস করতে সাতদিনও লাগবে না। এক সময় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের ঢাকায় দেখা যেত না। এখন প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ঢাকায় অন্তত একটা এপার্টমেন্ট আছে। ব্যবসায়ীদের অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। আস্তে আস্তে সারাদেশব্যাপী আপনাদের ব্যবসা ছড়িয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভা কক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনাদের ভাষ্যমতে সাপ্লাই চেইন নিয়ন্ত্রণ করে আমদানিক এবং মিল মালিকরা। আপনাদের দায়িত্ব হল কার কার কারণে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে সে খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো, কিন্তু আপনারা সেটা করেন না। পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা উপস্থাপন করলে ভোক্তা অধিদপ্তর আপনাদের হয়রানি করবে না। কোন অঞ্চলের পণ্য সরবরাহ ঠিক না থাকলে পণ্যের দাম বাড়বে এটাই হলো বাজারের ধর্ম। কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সকলে বসে বাজার সম্পর্কিত তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অপপ্রচার রোধে বড় হাতিয়ার হচ্ছে যৌক্তিক মূল্য তালিকা প্রচার। পুলিশ কিংবা জনগণ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ এবং পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে। যদি কৃষক পণ্যের দাম কম পায় সে পণ্যের উৎপাদন কমিয়ে দিবে। ফলে পণ্যের সরবরাহ কমে যাবে এবং পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.