পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলে আদিবাসী গোষ্ঠীর সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এনগা প্রদেশের ওয়াপেনামান্ডা জেলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এনগা প্রদেশের লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বলা হচ্ছে, এই অতর্কিত হামলা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
আরও পড়ুন>> অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হলেন পুলিশের ১৪ কর্মকর্তা
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার (৩৭৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমের ওয়াবাগ শহরের কাছে মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রাফিক ভিডিও এবং ছবি পেয়েছে, যাতে দেখা যায় রাস্তার পাশে ছিন্নভিন্ন ও রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।
পাপুয়া নিউগিনির পুলিশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জর্জ কাকাস বলেন, এটা পাপুয়া নিউ গিনির সবচেয়ে বড় সহিংস ঘটনার একটি। আমরা সবাই এই ঘটনায় হতবাক হয়েছি। এটা মেনে নেয়া সত্যি কঠিন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানিয়েছে, গত বছর এনগা প্রদেশে যে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সহিংসতায় ৬০ জন মারা গিয়েছিল তারাই এবারের সহিংতা চালিয়েছে।
কাকাস বলেন, আমরা সবাই বিধ্বস্ত, আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি। এটা বোঝানো সত্যিই কঠিন। পুলিশ ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ভিডিও এবং ফুটেজ পেয়েছে। সেখানে একটি লাশ বোঝাই ট্রাক দেখা গেছে।
দেশটিতে প্রায়ই জমি এবং সম্পদ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে জাতিগত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে এনগা প্রদেশে তিন মাসের লকডাউন জারি করা হয়।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.