জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি ও আয়ে রেকর্ড 

দেশে প্রথমবারের মতো একক মাস জানুয়ারিতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

Islami Bank

সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, মূলত একক মাসের সর্বোচ্চ রপ্তানির রেকর্ড হয়েছে জানুয়ারিতে। এই মাসে ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন বা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে।

আরও পড়ুন>> বিচারক ছুটিতে থাকায় ফের পেছাল সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়

এটা বড় একটি মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আমাদের ধারাবাহিক উন্নতির প্রমাণ। নতুন বাজারে শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিতও আসছে এই তথ্য থেকে।

চলতি মাসের শুরুতে জানুয়ারির পণ্য রপ্তানির যে তথ্য ইপিবি প্রকাশ করেছে, সেখানে সার্বিক রপ্তানি আয়েও রেকর্ড দেখা গেছে। জানুয়ারিতে মোট ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ।

one pherma

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে পোশাক রপ্তানির চিত্র হতাশাজনক হলেও জানুয়ারিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক সূচকের দিকে বাঁক নিয়েছে। এই মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ওভেন পোশাকে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বছরের বাকি সময়ে আরও ভালো খবর আসবে এমন আশা প্রকাশ করে ফারুক হাসান বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। গত বছরের হলিডে সিজনে আমাদের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র্র ও যুক্তরাজ্যে ব্যাপক বেচাকেনা হয়েছে। এতদিন তাদের ইনভেনটরিতে যেসব পণ্য জমা ছিল, সেগুলোও কমে এসেছে। ফলে এখন নতুন ক্রয়াদেশ আসার প্রবণতাও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালটি আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।

পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যেখানে চীনের অংশ ৩১ শতাংশের কিছু বেশি।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us