আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নতুন অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সরকারি অফিস আদালতে প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিস শুরু হবে সকাল ৯টায়। আর শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। এছাড়া বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে। এছাড়া সরকারিভাবে অর্থের অপচয় যাতে না হয়, সেজন্য বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিসভা বৈঠকে, হিজরি ১৪৪৫ (২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ) সালের পবিত্র রমজান মাসে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আসন্ন রমজান মাসে নতুন অফিস সময় সূচি জানান। রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময় বিবেচনা করে এবং রোজাদারদের অফিসে আসার সুবিধার্থে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্যান্য অফিসের বিষয়ে অফিস আদালত-ব্যাংক-বীমা ও অন্য সংশ্লিষ্ট এবং ডাক, রেলওয়েসহ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে এবং আইন অনুযায়ী তারা সময়সিূচি নির্ধারণ করবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বৈশ্বিক মন্দার পর অফিস সময় পরিবর্তন করে ৯টা থেকে ৫টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা কমানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো.মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা আছে। সেটি হলো রমজান মাসে বড় ইফতার পার্টি নামক কোনো বিষয় উদযাপন করা যাবে না, সরকারিভাবে করা যাবে না। সে বিষয়ে তিনি সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। শুধু সরকারিভাবে না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেসরকারিভাবেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। (বড় ইফতার পার্টি) না করার জন্য বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, কারো যদি দায়-দাবি থাকে তাহলে যেন সেই অর্থে খাদ্য কিনে গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা যেন অপচয় না করি। আমরা যেন লোক দেখানো কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত না করি। তার চেয়ে ওই টাকাটা যদি আপনি কারো কল্যাণে ব্যবহার করতে চান, গরিব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারেন। আপনি-আমি বসে খেলাম, ওখানে অনেক অপচয় হলো, খাদ্যের অপচয় হলো, অর্থের অপচয় হলো। এটি যৌক্তিক হতে পারে না, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যৌক্তিকতা থাকে না।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.