বেইলি রোডের ভবনে ফায়ার এক্সিট না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন: সেখানে কোন ফায়ার এক্সিট নেই। আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের সব সময় অনুরোধ করি, আপনারা যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু আর্কিটেক্টরা ওরকম ডিজাইন ঠিক মতো করে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। এসময় তিনি রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে?
বীমার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মাসে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি, এই মাসেই জন্ম নেন আমাদের মহান নেতা। ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে, এটি আমাদের জন্য স্বরণীয় একটি বিষয়। বীমা আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবনের বিভিন্ন ঝুকি এড়াতে এই বীমা সহযোগিতা করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ২টি গ্রুপে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এবছর ২টি লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বীমা ব্যবসার বিকাশে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট পেয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা পরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফটো সেশনেও অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, আইডিআরএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বীমা খাতের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এই কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক বীমা সেবারও উদ্বোধন করেন যা সরাসরি ব্যাংক থেকে বীমার প্রিমিয়াম প্রদানের সুবিধা প্রদান করে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এই বছর বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। তাই প্রতিবছর ১লা মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। সরকার পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জাতীয় বীমা দিবসকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.