শীতল পাটি বাংলার সুপ্রাচীন এক কুটির শিল্পের নাম। শীতল পাটি আমাদের সভ্যতা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের অংশ। এছাড়া বাংলাদেশের শীতল পাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যেরও অংশ। জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিক এ স্বীকৃতি ঘোষণা দেয়। শীতলপাটি (বাংলা: শীতল পাটি) যাকে সিতল পাটি এবং সিত্তল পাটিও বলা হয় , এটি এক ধরণের মাদুর যা প্রকৃতিতে ঠান্ডা অনুভব করে এবং এক ধরনের রোম্যান্টিক সুবাস ছড়ায়।
শীতল পাটির প্রধান উপাদান হলো মোরতা।এটি এক প্রকারের নলখাগড়া জাতীয় ঘাস। অঞ্চল ভেদে কোথাও মোরতাকে হারিযাতা গাছ, আবার কোথাও পাইটগাছ বা পাইত্রা বলা হয়ে থাকে। যাঁরা শীতলপাটি বুনে তাঁদেরকে বলে “পাটিকর”।
বাংলাদেশের অল্প কয়েকটি এলাকায় এই গাছের চাষ হয় এবং পাটিকরদের অবস্থান।ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা এবং পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার কিছু এলাকায় পাইতরা চাষ হয় এবং পাটিকরেরা শীতল পাটি বুনে।অসম্ভব ধৈর্য আর চমৎকার নৈপুণ্যের সমাহারে সমৃদ্ধ একটি শিল্পকর্ম শীতল পাটি বুনন কাজ।
কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। পুজির অভাবে অনেকেই পেশা বদল করে চলে গেছেন অন্য পেশায়।এবার রুগ্ন ও বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে তাঁদের পাশে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অন্যতম বৃহৎ বানিজ্যিক ব্যাংক রূপালী ব্যাংক পিএলসি বরিশাল বিভাগ।
সম্প্রতি রূপালী ব্যাংক পিএলসি বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক জনাব রোকনুজ্জামান-এর নির্দেশনায় পিরোজপুর জোনের কাউখালি শাখা ক্লাস্টার ভিত্তিতে পাটিকরদের মাঝে উৎপাদন, বুনন ও বিপননের জন্য প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণ করেছে।
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে দেশ ও দেশের জনগণের সেবায় নিয়োজিত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব রূপালী ব্যাংক পিএলসি ঐতিহ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলো ডুবতে বসা পাটি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে রূপালী ব্যাংকের এ মহান উদ্যোগ সমাজের সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংক পিএলসি বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক জনাব রোকনুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জোনের জোনাল ম্যানেজার বিপুল কৃষ্ণ সন্নমত।তাছাড়া কাউখালি শাখার বিভিন্ন কমকর্তা,কর্মচারী এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.