ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একই পরিবারের ৪ সদস্যের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ বাকি একজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০) ও তাদের উচ্চ মাধ্যমিকপড়ুয়া ছেলে আল হাদী সোহাগ (১৮)।
জানা গেছে, নুরুল ইসলাম ধামরাইয়ের ধানতারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে ধামরাইয়ের পৌর এলাকা মোকামটোলা এলাকায় ভাড়া করা একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দিন ও রাতের বিভিন্ন সময় এবং সর্বশেষ আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে একই পরিবারের ওই ৩ সদস্যের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে সর্বপ্রথম গতকাল বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়া বেগম মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আজ ভোর ৪টার দিকে নুরুল ইসলাম ও সকাল ১১টার দিকে তাদের ছেলে আল হাদী সোহাগ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে নুরুল ইসলামের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং সোহাগের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বিস্ফোরণে পরিবারটির একমাত্র জীবিত সদস্য নুরুল ইসলাম ও সুফিয়া বেগম দম্পতির মেয়ে নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানান এই চিকিৎসক।
নিশরাত জাহান সাথী আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।
এর আগে গত বুধবার (২৭ মার্চ) ভোররাত ৩টার দিকে ধামরাইয়ের পৌর এলাকা মোকামটোলার একটি বহুতল ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.