ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা শনিবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন আগে শনিবার যা যশোরে ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলাসয়াস হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রায় সারাদেশে চরম আকার ধারণ করেছে গরম। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল, কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারণে ছুটি আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে তাপদাহের কারণে হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ মুহূর্তে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে রংপুরেও তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট ছাড়া দেশের বাকি ছয় বিভাগেই তাপপ্রবাহ বইছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২, রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫ ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগের সবগুলো স্টেশনে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে সেখানে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৩ ও ২৪ এপ্রিলের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.