যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে নিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হামাস নেতৃত্ব বলেছে যে তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে নিয়েছে। একটি বিবৃতিতে, গ্রুপটি বলেছে যে তারা কাতারি এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সোমবার (৬ মে) স্থানীয় সময় বিকাল ৫ টায় কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনের সরাসরি প্রতিবেদনে জানা যায় যুদ্ধবিরতির খবরে আনন্দ উল্লাসে সব বয়সী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

তবে এ যুদ্ধবিরতি কতক্ষণ বা কতদিন স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মিদের জন্য এর অর্থ কী তা সহ তার কোন সূক্ষ্ম বিবরণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে, হামাসের যুদ্ধবিরতির খবরে, আল আকসা হাসপাতালের সামনে উল্লাস করতে দেখা যায়। গাজার পূর্ব রাফাহ শহরেও সেখানকার বসবাসকারিদের উল্লাস, আনন্দ করতে দেখা যায়। খবর আল জাজিরা।

আরও পড়ুন…রাফাহর দুটি এলাকায় ইসরায়েলি হামলা

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। সোমবার (০৬ মে) কাতার ভিত্তিক বিশ্ব সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংগঠনটির প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে চুক্তিতে কী ছিল সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালায় হামাস। তেল আবিবের হিসাবে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। হামাসের হাতে জিম্মি হয় অনেকে। এরপর থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

সাত মাসের এই সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৭৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছে ৭৮ হাজার ১০৮ জন ফিলিস্তিনি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রাণঘাতী হামলার পর শুরু হওয়া সংঘাতে গাজায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়া আবাসনগুলো পুনরুদ্ধার করতে প্রায় ৮০ বছর সময় প্রয়োজন।

ইবাংলা/ এ বা

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us