বিদ্যালয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে সচেতনতা মূলক প্রচারণা প্রশিকার

ইস্রাফিল হাওলাদার

গ্রীন সিটি ক্লিন সিটি স্লোগানে বিদ্যালয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে সচেতনতা মূলক প্রচারণা করেছেন দেশের অন্যতম এনজিও প্রশিকা মানবিক উন্নয় কেন্দ্র প্রধান কার্যালয়।
রাজধানীর পল্লবীতে সোমবার মীরপুর শহীদ স্মৃতি উচ্ছ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রচারনা করা হয়। এ কর্মসূচিতে প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও এতে অংশগ্রহণ করেন উপ প্রধান নির্বাহী জনাব কামরুল হাসান কামাল, উপ পরিচালক আবদুর রহিম, উপ-পরিচালক সুমনা দাস, শেফালী বেগম, আল ইমরান টিপু, ওয়াজেদ আলী সিকদার, শাহজামান, মিঠু মনির ,সাজ্জাদ, রাজা, প্রমূখসহ অন্যান্য প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রশিকার প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থদের বিদ্যালয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে সচেতনতা মূলক প্রচারণা করাসহ নিজেদেরকেও বর্জ্য ব্যভস্থাপনায় সচেতন হবার আহ্বান করেন।

আরও পড়ুন…কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসল উৎপাদন বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে

তিনি আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সচেতন না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নগরী রেখে যাওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা বিশ্বের ৬ষ্ট বৃহত্তম জনবহুল শহর। ইউএনপিএ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম প্রধান দূষিত নগরী এবং শহুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এর একটি বড় সমস্যা। তাই বসবাসের শহর প্রত্যেকের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান করেন দেশের অন্যতম এনজিও প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র।

২০১২ সালের এক হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্জ্য সৃষ্টির পরিমাণ ছিল প্রতি বছরে মাথাপিছু ১৫০ কিলোগ্রাম। বাংলাদেশে বর্জ্য উৎপাদনের হার বেড়েই চলছে, এভাবে ২০২৫ সালে দৈনিক প্রায় ৪৭০৬৪ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। তখন বর্জ্য উৎপাদনের হার বেড়ে বছরে মাথাপিছু ২২০ কিলোগ্রাম হবে। বড় শহর ঢাকায় বর্জ্য সংগ্রহ করার হার এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫০%। যেসব বর্জ্য সংগ্রহ হয় না সেগুলো অপরিশোধিত অবস্থায় পরিবেশে মুক্ত হয় এবং এতে স্থানীয়ভাবে মারাত্মক পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে পরিবেশ দূষণের কারণে। এর মধ্যে ১৮০০০ লোক শুধু মারা যাচ্ছে ঢাকায়।

শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন নগরবাসীর সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ। মানুষকে অনুধাবন করতে হবে তারা একটি অপরিষ্কার এবং দূষিত নগরীতে বসবাস করছেন।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিকা বিশ্বাস করে শহরগুলোকে অপরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করছে আমাদের দায়িত্বের দূর্বলতা। সুতরাং অন্য কেউ এসে এই সমস্যার সমাধান করবে না, আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। তাই প্রশিকার সকল কর্মসূচি হবে জনগণের অংশগ্রহণ কেন্দ্রিক। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন নগরবাসীর সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ।

মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। তাই বাস্তবায়নযোগ্য ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রশিকা গ্রিন সিটি ক্লিন সিটি কর্মসূচি/পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us