নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ জন আহত হয়েছে।বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ৯ নং কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Islami Bank

আহতরা হলেন, উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০) শাহ আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ মান্না (২৬) মো.হানিফের ছেলে রাকিব (২২) আবুল কালামের ছেলে মো.কবির (২২), একই গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে মো.জামাল (৫৫)।

আহতদের স্বজনরা জানান, কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি শ্লোগানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ওই সময় পুলিশ এসে অতর্কিত গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা সবাই হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা সবাই আনারস প্রতীকে জয়ী প্রাথী এ কে এম সামছুদ্দিন জেহানের সমর্থক বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

one pherma

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, তারা একটি ভোট কেন্দ্রে ঢুকলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিদেশে পুলিশ গুলি চালায়।

এতে পুলিশের গুলিতে দুইজন সামান্য আহত হয়। যারা আহত হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি কিছুই বলা হয়নি। যারা ভোট কেন্দ্রে আক্রমণ করেছে এ ঘটনায় প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি গণমাধ্যম কর্মিদের বলেন, ভোট গণনা চলছিলো। তখন তারা উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভাংচুর ও ভোট বাক্স লুটের চেষ্টা করলে প্রিসাইডিং অফিসারে নির্দেশে পুলিশ গুলি ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us