রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে বন উজাড়ের কারণে সেখানে ইতোমধ্যেই পরিবেশ ও বাস্তুগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে তাই এখন আর নতুন স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না কারণ।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মঙ্গলবার (০৪ জুন) সন্ধ্যায় জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আরও পড়ুন…ছয় দশক পর ‘নতুন ইতিহাস’ তৈরি ভারতে: মোদি

শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো খুবই ঘিঞ্জি এবং রোহিঙ্গারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করছে। তিনি আরো বলেন,‘তাদের ভাষানচরে নিয়ে যাওয়া হলে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং তারা আরও ভাল থাকবে।’তিনি ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে আটকা পড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য ইয়োহেই সাসাকাওয়ার সমর্থন কামনা করেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী অর্ন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য কক্সবাজার থেকে আরও রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তর করতে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের কাছে আরও সহায়তা চেয়েছেন। বর্তমানে নিপ্পন ফাউন্ডেশন রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।

ইয়োহেই সাসাকাওয়া ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধায় সন্তোষ প্রকাশ ও প্রশংসা করেন এবং বলেন যে নিপ্পন ফাউন্ডেশন রোহিঙ্গাদের আয় বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নতুন রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে আগ্রহী। এ লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে কারণ সে সময় ৪০ হাজারের বেশি নারী গর্ভবতী ছিল এবং সে কারণেই সরকার মাঠ পর্যায়ে হাসপাতাল স্থাপন করে খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে সরকারের সাথে যোগ দেয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহী না হওয়ায় তাদের রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দিন দিন দ্রুত বাড়ছে।

ইয়োহেই সাসাকাওয়া বলেন, নিপ্পন ফাউন্ডেশনও এ বিষয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক।বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us