শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার মোতালেব মাতব্বরের ছেলে হৃদয় মাতব্বর (২২)। থাকেন রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পশ্চিম ধোলাইপাড়ে ভাড়া বাসায়। সেখানে বসে ইউটিউব দেখেই জালনোট বানানো শুরু করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে জাল নোট বেচতেন হৃদয়। এবার ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ জালনোট বাজারে ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে র্যাবের জালে ধরা পড়েছেন এই যুবক।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এরূপ বেশকিছু জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
র্যাব-৩ এ স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হৃদয়কে আটকের সময় তার কাছ থেকে জালনোট তৈরিতেব্যবহৃত।
একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, একটি কী-বোর্ড, একটি মাউস, একটি রাউটার, দুটি মাল্টিপ্লাগ, একটি পেপার কাটার, ৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, তিনটি ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং ৬০ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যমানের জালটাকা পাওয়া যায়।
হৃদয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, তিনি আগে থেকেই কম্পিউটারে পারদর্শী ছিলেন। ধোলাইপাড় এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতেন।
ইউটিউব দেখে জালনোট তৈরিতে পারদর্শিতা অর্জন করেন হৃদয়। পরবর্তীতে তিনি কম্পিউটার, প্রিন্টার, পেপার কাটার এবং জালটাকা তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজ ঘরে জাল নোট ছাপানোর কাজ শুরু করেন।
র্যাব আরও জানায়, হৃদয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিজ্ঞপানের দিয়ে জালটাকা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সংগ্রহ করেন। আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া হৃদয় দেশি ও বিদেশি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.