অগ্নি ঝরানো বোলিংয়ে ১১৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখতে পারলেও ব্যাটিং ব্যার্থতায় হেরে গেলেন লাল সবুজের দল। বল হাতে সঠিক কাজটাই করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এতো লো স্কোরিং ম্যাচেও প্রোটিয়াদের কাছে ৪ রানে হারলো টাইগাররা।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা দারুণ করে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে আটকে দেয় তারা।
আরও পড়ুন…সংসদে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
বল হাতে শুরু থেকেই প্রোটিয়া ব্যাটারদের চাপে রাখেন তানজিম। অন্যপ্রান্ত থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তাসকিন। তবে পঞ্চম উইকেটে হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটিতে লড়াইয়ে পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের হয়ে ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তানজিম। ২টি উইকেট নেন তাসকিন।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সূচনালগ্নেই ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। কাগিসো রাবাদার শিকার হন তিনি। পরে পাওয়ার প্লে দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস। ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৯ রান তোলে বাংলাদেশ।
কিন্তু এরপর টানা দুই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সপ্তম ওভারে লিটন বাজে শট খেলে আউট হন। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৩ বলে করেন ৯।
পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়াকে হুক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৪ বলে করেন ৩ রান। অধিনায়ক শান্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। নরকিয়ার শিকার হওয়ার আগে ২৩ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রান করেন।
এরপর তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৫ বলে ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই বের করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ করা হৃদয়কে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়। রাবাদার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েছেন।
জাকের আলি পরের দিকে রানের চাহিদা মেটাতে পারেননি। ৯ বলে ৮ করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ২০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশভ মহারাজ ২৭ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট কাগিসো রাবাদা আর এনরিখ নরকিয়ার।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.