নারীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এর যৌথ উদ্যোগে ICVGD প্রকল্পের এক লক্ষ উপকারভোগীর মধ্যে উপযুক্ত ৯৬,৯২৮ জন নারী উপকারভোগীদের কে জিটুপি(গভর্নমেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বর্ধক কার্যক্রম/ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রতেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৯৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আজকের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই বিনিয়োগ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে আমরা কেবল নারীদের স্বতন্ত্রভাবে সমর্থন করছি না বরং নারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করছি। নারীদের উন্নয়নে এবং দেশের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এমন সুযোগ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারীর অবদান জোরদার করনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল ২০১৫ এর আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। চলমান ICVGD প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪ টি জেলার প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে উপজেলা নিয়ে ৬৪ টি উপজেলায় এক লক্ষ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

উক্ত উপকারভোগীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে নগদ অর্থ অনুদান,প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ, পাঁচটি নির্ধারিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একটি বিশেষ মডিউলের অধীনে উপকারভোগীর নিজের পছন্দ ও সুবিধাজনক একটি বিষয়ে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি, মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান সহ মন্ত্রণালয়ের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা্ রিয়াজুল

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us