সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একইসঙ্গে আলোচিত ও সমালোচিত একটি নাম রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। দেশি পোশাক বিদেশি বলে বিক্রি করার অভিযোগে মাসখানেক আগে তার গুলশানস্থ ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুমটি বন্ধ করে দেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আলোচিত এ ঘটনা গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত।
কোর্টের নির্দেশে তার সেই আলোচিত শোরুমটি খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে অধিদপ্তর।বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একটি দল পুলিশ প্লাজায় গিয়ে শোরুমটি খুলে দেয়।
এর আগে সোমবার (১০ জুন) তনির শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ।তবে মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর পর্যন্ত শোরুম খুলতে দেননি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল।
ফলে মঙ্গলবার দুপুরে তনির আইনজীবীরা ফের আদালতে যান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শোরুমটি খুলে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন আদালত।
আদালতের এ নির্দেশের পর বুধবার সকাল ১০টায় তনির শোরুম খুলে দেওয়া হবে বলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এর আগে গত ১২ মে সানভীস বাই তনি’র প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরে ১৪ মে সানবিসকে দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কিন্তু শোরুম খুলে না দেওয়ায় উচ্চ আদালতে যান তনি গত ২১ মে নিজের শোরুমে তালা দেওয়ায় রিট পিটিশন দায়ের করেন তিনি। পরবর্তীতে ২৭ মে সানভীস বাই তনির শোরুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.