বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. শামসুদ্দিন পারভেজ ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আবু হানিফ। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর একটি হলরুমে দলটির প্রতিনিধি সভায় কাউন্সিলদের ভোটে তারা নির্বাচিত হন। প্রতিনিধি সভা ও বিশেষ কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধি ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ ডিসেম্বর পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০(ঙ) অনুচ্ছেদ-১ এবং ধারা ৬ (ঙ) নং ধারা মোতাবেক সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, তৎকালীন মহাসচিব ও অতিরিক্ত মহাসচিব যথাক্রমে আব্দুল আউয়াল মামুন এবং আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
নির্বাচিত হয়ে শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, অথচ আমাদের ঘরেই যে বিশ্বাসঘাতক ছিল তা আমাদের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। আমরা দলীয়ভাবে এবং জোটগতভাবে সারাদেশে সফর করে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছি। দলের শুরু থেকেই আমরা কল্যাণ পার্টির রাজনীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বে এবং জোট হিসেবে ১২ দলীয় জোট গঠনের সময় থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা কল্যাণ পার্টি ছিলাম, আছি এবং থাকব।
মহাসচিব হানিফ বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিলাম তা অব্যাহত আছে। ইতিহাস সাক্ষী আমরা অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করি নাই এবং টাকার বিনিময়ে আমরা কারো কাছে বিক্রিও হই নাই। এই অপশক্তি ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফেরত আসবে না। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ববোধের তীব্র নিন্দা জানান।
সারাদেশ থেকে আগত উপস্থিত কাউন্সিলররা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন।
কল্যাণ পার্টির এ সভাটি প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হল এবং পরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনের বুকিং বাতিল করা হয়।
কল্যাণ পার্টির নেতৃবৃন্দ জানান, বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদদে এবং প্রশাসনের বাধায় তাদের বুকিং বাতিল করেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.