পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে আবারো বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যে কারণে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ৩০ মে বন্যার জন্য সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৭ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
আরও পড়ুন…চট্টগ্রামে ঝড়ের কবলে পড়ে ঢাকায় ফেরত বিমান
জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে আবারো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ওই জেলার তিনটি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আরো কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
জেলার গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, টানা পাঁচদিন ধরে বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে প্রবহমান পিয়াইন, সারি ও গোয়াইন নদের পানি বিপৎসীমার ওপরে অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্লাবিত হয়েছে। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে, জানমাল রক্ষার্থে ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সোমবার সকাল ৯টা সুরমা নদীর কানাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও সারি গোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইবাংলা/ বা এ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.