নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় ৩৪ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
এ এসময় চাঁদা আদায়ের নগদ ৯৮হাজার ৫১৫ টাকা, ৩৪টি মোবাইল, লাঠিসোঁটা এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে জেলার সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় এসব অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন…ঋণের চাপে চিরকুট লিখে আ.লীগ সভাপতির আত্মহত্যা
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারা নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুরের এবং বেগমগঞ্জের চৌমুহনী, চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি,সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে।
তারা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ও আভ্যন্তরীণ পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট।
লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকত। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
আরও পড়ুন…পদ্মা সেতুতে দুই বছরে যত আয় করেছে
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, চক্রটি জেলার বিভিন্ন এলাকার মহসড়ক থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ি।
সিএনজি, অটোরিকশা চালকদের থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানা ও সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.